চট্টগ্রাম ব্যুরো:

পাহাড়ী জনপদ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় এবার ইয়াবাসহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এক পুলিশ পরিদর্শককে আটক করেছে গ্রামবাসী।

পরে স্থানীয় থানায় সোপার্দ করা হয় বলে জানা যায়।

আটক পিবিআই অফিসারের নাম ইকরাম হোসেন (৩৮) নামে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গত রবিবার গভীর রাতে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকায় এক মহিলার বাসা থেকে আটক করা হয়।

যার কর্মস্থল পিবিআই’র চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ব্রাঞ্চে।

তার কাছ হতে ইয়াবা ছাড়াও সরকারি অস্ত্র, পোশাক ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার গভীর রাতে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার রসুলপুর এলাকায় ইসমত আরা নামে এক মহিলার বাসা থেকে স্থানীয় লোকজন ইকরাম হোসেনকে আটক করে।

স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিষয়টি মাটিরাঙ্গা জোন ও থানাকে জানালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টহল দল ও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

আটক ইকরাম হোসেন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের কাছে নিজেকে পিবিআই’র চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চের পুলিশ পরিদর্শক বলে পরিচয় দেন।

পরে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশী চালিয়ে ৮৬পিস ইয়াবা, একটি সরকারি নাইন এমএম পিস্তল ও ১৬ রাউন্ড গুলি এবং ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান, প্রকৃত পক্ষে ওই মহিলার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক।

মহিলা একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। ধৃত পুলিশ অফিসার তাকে দিয়ে এ ইয়াবা ব্যবসা করান। রুবেল নামে মহিলাটির এক ভাই ও ইয়াবা ব্যবসা করে।

কাউন্সিলর আব্দুল খালেক আরও জানান, ইসমত আরা নামে এ মহিলাটির ৭-৮ জনের সাথে বিয়ে হয়েছে।

জানাযায়, খাগড়াছড়ি সদরে গত শনিবার (১৮ আগস্ট) সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চের পিবিআই’র একটি দল রবিবার খাগড়াছড়ি আসে।

পুলিশ পরিদর্শক ইকরাম হোসেন ও ঐ তদন্তটিমে ছিলেন।

সূত্র আরো জানায়, তদন্তকাজ শেষে অন্য সদস্যরা চট্টগ্রাম ফিরে গেলেও তিনি মাটিরাঙ্গায় ওই মহিলার বাসায় উঠেন।

এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে পিবিআই’র চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. মাইন উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল সোমবার বেলা ১২ টায় মাটিরাঙ্গায় আসেন। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় লোকজনদের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেন। পরে তারা সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মাটিরাঙ্গা থানা থেকে পিবিআই’র আটক পুলিশ পরিদর্শক ইকরাম হোসেনকে নিয়ে চট্টগ্রাম ফিরে যান।

বিস্তারিত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এখন মুখ খুলতে নারাজ।